‘আল্লার কসম কোনো ছাত্রীর সাথে আমার দৈহিক সম্পর্ক ছিল না।

আজ সোমবার সকালে কুমিল্লার মহিলা কলেজ রোড মাদার কেয়ার হাসপাতালের পেছনে ভাড়া বাসার দুই তলা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ২নং চৌয়ারা ইউনিয়নের হেমজোড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে।কুমিল্লায় ভাড়া বাসায় থাকতেন কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল ওহাব। বাথরুম থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

মৃত্যুর আগে তিনি দু’টি চিরকুট লিখে গেছেন।চিরকুটে তিনি তার মৃত্যুতে স্ত্রী, সন্তানসহ কাউকে দায়ী করেননি। চিরকুটের এক স্থানে তিনি লেখেন-‘আল্লার কসম করে বলছি কোনো ছাত্রীর সাথে আমার দৈহিক সম্পর্ক ছিল না।’সূত্র জানায়, কুমিল্লার মহিলা কলেজ রোড মাদার কেয়ার হাসপাতালের পেছনে ভাড়াটে বাসার দুই তলা থাকতেন প্রফেসর আব্দুল ওহাব।

পরিবারের সদস্য হিসেবে ছিল স্ত্রী মরিয়ম আক্তার ও এক মেয়ে লাবিবা আক্তার।প্রফেসর আব্দুল ওহাব মৃত্যুর আগে চিরকুটে লিখেছেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নহে। দায়ী আমার নসীব। অধ্যক্ষ থাকাকালীন দুই একজনের সাথে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে।’
চিরকুটে তিনি আরো লেখেন, ‘একথা সত্য যে কোন ছাত্রী আমার নিকট সহজে তার সমস্যার কথা বলতো। আল্লার কসম করে বলছি- কোনো ছাত্রীর সাথে আমার দৈহিক সম্পর্ক ছিল না।’নিহতের তার স্ত্রী ও মেয়ে বলেন, প্রফেসর আব্দুল ওহাব পেনশন, সম্পত্তি ও পরিবার নিয়ে মানসিকভাবে চিন্তিত ছিলেন।

সোমবার সাহরির পরবর্তীতে কোন একসময় বাথরুমে ঝর্ণার পাইপের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি। মৃত্যুর আগে দু’টি কাগজে দু’টি চিরকুট লিখে গেছেন। এছাড়া কি কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন স্ত্রী ও মেয়ে বলতে পারছেন না।কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আবু ছালাম মিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। মৃত্যুর আগে লেখা চিরকুটগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা।আবু ছালাম মিয়া আরো বলেন, ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের পর প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে তার গলায় এবং অন্ডকোষে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।উল্লেখ্য, প্রফেসর আব্দুল ওহাব কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজে ২০১৪ সালের ২ জুন থেকে ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ সাল পর্যন্ত অধ্যক্ষ্যের দায়িত্ব পালন করেছেন।